শুকিয়ে যাচ্ছে ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী,তলদেশে কিসের সুরঙ্গ?

ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদীকে কেন্দ্র করে আজ থেকে হাজার বছর পূর্বে গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয় সভ্যতা।ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদীর উৎপত্তিস্থল তুরষ্ক হলেও বর্তমানে নদীটি সিরিয়া ও ইরাকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাকে সেচকাজ ও পানিবিদ্যুতের কাজে এ নদীর পানি ব্যবহার করা হয়।ইতিহাসবিদরা ধারণা করছেন যে, এই নদীর তলদেশে রয়েছে গোপন সুরঙ্গ যা দিয়ে যাওয়া যাবে রহস্যময় অজানায়।কিন্তু ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে এই নদীর পানি।হাদিসে বর্ণিত আছে “কেয়ামতের আগে শুকিয়ে যাবে ফোরাত নদী এবং বেরিয়ে আসবে স্বর্নের পাহাড়” তাহলে কি কেয়ামত অতি নিকটে?চলুন তবে এ ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেসোপটেমিয় সভ্যতা।
ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল যার বর্তমান নাম ইরাক।আজও ইরাকের বুকেঁ বয়ে চলেছে ইউফ্রেটিস নদী তবে আগের মতো সমৃদ্ধি নেই নদীটির। ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে ।দীর্ঘদিন ধরেই ইতিহাসবিদরা গবেষনা করছে এ নদীর তলদেশে থাকা একটি সুরঙ্গ নিয়ে।ইরাকের বিভিন্ন প্রাচীন বইয়ে ও এই সুরঙ্গের কথা বলা হয়েছে।এই সুরঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন লোককাহিনী ও প্রচলিত রয়েছে ইরাকে।সম্প্রতি পানি কমে যাওয়ায় সেই সুরঙ্গের সন্ধান মিলেছে নদীগর্ভে।অনেকর দাবী এটিই সেই সুরঙ্গ যার কথা বিভিন্ন লোককাহিনী এবং প্রাচীন বইয়ে রয়েছে।এ সুরঙ্গটি অনেক গভীর এবং নিচে নামার জন্য কাটা রয়েছে ধাপে ধাপে সিড়ি।প্রাচীন কাহিনী অনুসারে, “এই সুরঙ্গটি ব্যাবহার করতেন ব্যাবিলনের রাণী সেমিরামিস। নদীর উপর দিয়ে তিনি পারাপার পছন্দ করতেন না বলে সুরঙ্গটি তৈরি করা হয়েছিল।সুরঙ্গটির ওপারে রয়েছে ভিন্ন এক দুনিয়া”।
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই নদীটিকে নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন। তিনি বলেছেন, “কেয়ামতের আগে শুকিয়ে যাবে ফোরাত নদী।আর শুকিয়ে যাওয়া নদীতে উঠবে স্বর্নের পাহাড়।আর এই সোনার পাহাড়ের দখলদারিত্ব নিয়ে যুদ্ধ সংঘটিত হবে”।তিনি মুসলিমদের সতর্ক করেছেন এবং বলেছেন ” যে ব্যাক্তি সে সময় বেঁচে থাকবে সে যেন এই পাহাড় থেকে কোন অংশ গ্রহন না করে”।
ইতিহাসবিদ ও ভুতত্তবিদরা বলছে গত কয়েক বছরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছ ফোরাত নদীর পানির ধারা এবং ইসলামী চিন্তাবিদরা এটিকে কেয়ামতের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচনা করছে।যদিও এখনও পর্যন্ত কোন সোনার পাহাড় দৃশ্যমান হয়নি।