মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১০০০ কোটি টাকার মালিক ভারতের কনিষ্ঠতম ধনকুবের!

‘উদ্যোক্তা’, বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। হরহামেশাই এখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নানা উদ্যোক্তার কথা শোনা যায়। কেউ কেউ আবার নিজের জায়গা থেকে প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করছেন। তেমনি এক সফল উদ্যোক্তা ভারতের নাগরিক ‘শাশ্বত নকরানি’।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে শাশ্বত নকরানি ভারতের কনিষ্ঠতম ধনীর তকমা পেয়ে গেছেন। সম্প্রতি আইআইএফএল ওয়েল্থ হুরান ইন্ডিয়া’র ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। খুব কম বয়সেই দেশের ধনীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন তার মতো আরও ১৩ জন। তাদের মধ্যেই কনিষ্ঠতম শাশ্বত।
শুধু তাই নয়, এই বয়সেই ১০০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। ২০১৮ সালে, আসনীর গ্রোভার এবং ভাবিক কোলাদিয়ার সঙ্গে মিলিত চেষ্টায় ‘ভারতপে’ অ্যাপ বাজারে নিয়ে আসেন তিনি। সেইসাথে সংস্থার গ্রুপ প্রোডাক্ট হেড হন।
তার সমবয়সী অন্যরা যখন কেউ স্নাতকোত্তরের ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কেউ বা স্নাতকের ডিগ্রি হাতে নিয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কেউ কেউ হয়ত সবেমাত্র কাজে ঢুকেছেন কিংবা জীবনের লক্ষ্যই স্থির করে উঠতে পারেননি, সে বয়সেই ধনকুবেরর তকমা পেয়েছেন শাশ্বত।
অনলাইন লেনদেনের অ্যাপ ভারতপের সহ প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ২০১৫ সালে, টেক্সটাইল প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য দিল্লি আইআইটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কলেজের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার আগেই কলেজ ছেড়ে দেন। ফেসবুক অধিকর্তা মার্ক জাকারবার্গ কিংবা মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মতোই কলেজের পড়া সম্পূর্ণ করেননি শাশ্বত। নিজের অ্যাপ বানাতে কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি।
সসম্প্রতি মোট ১০০৭ জন উদ্যোক্তাদের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল আইআইএফএল ওয়েল্থ হুরান ইন্ডিয়া। তাদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ শাশ্বত। শাশ্বতের অ্যাপ ভারতপে ব্যবসায়ীদের কাছে এক সময় বহুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এই ভারতপে অ্যাপের কিউআর কোডের মাধ্যমেই পেটিএম, ফোনপে, গুগলপে, ভিম-সহ ১৫০টিরও বেশি ইউপিআই মাধ্যমে লেনদেন করা যায়। পাশাপাশি আরও একটি রেকর্ড রয়েছে শাশ্বতের ঝুলিতে। শাশ্বত এমন একজন বিত্তবান উদ্যোক্তা যে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এ জায়গায় পৌঁছেছেন।
এছাড়া আরও একটি রেকর্ড আছে শাশ্বতের ঝুলিতে। শাশ্বত এমন একজন বিত্তবান উদ্যোক্তা যিনি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এই জায়গায় পৌঁছেছেন। পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিবারের ব্যাপক আপত্তি ছিলো। তাই তাদের কাছ থেকে সেরকম সহযোগিতা ও পাননি। কিন্তু সেসব গ্রাহ্য করেনি শ্বাশত। নিজের লক্ষ্যে অটল ছিলেন তিনি। আর সেজন্যেই আজ উঠে এসেছেন আলোচনার শীর্ষে।
নেট মাধ্যমে সক্রিয় শাশ্বত ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। সুস্বাদু খাবার খাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানো তাঁর জীবনের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নেট মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানোর সব ছবি অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি।