আনাহিতা হাশেমজাদেহঃ হাসি দিয়ে বিশ্বজয় করেছে যে শিশু

নীল-সবুজ রঙের চোখ, বাদামি কোঁকড়া চুল আর সঙ্গে টোল পড়া চোখধাঁধানো হাসি। কার চেহারা টা ভেসে উঠলো চোখের সামনে? বলছিলাম আনাহিতার কথা।
আনাহিতা হাশেমজাদেহ, সুন্দর চেহারা ও হাসির জন্যে সারাবিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে যে ছোট্ট মেয়েটি। ইতিমধ্যে সে নেট দুনিয়ার রানী এবং ভবিষ্যৎ বিশ্বসুন্দরীর খেতাব অর্জন করে নিয়েছে।
আনাহিতা হাশেমজাদেহর ডাকনাম আনাহিতা। ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি, ইরানের ইসফাহান শহরে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে এই ছোট্ট মেয়েটি। বর্তমানে তার বয়স ৫ বছর ৬ মাস। আনাহিতার বাবার নাম আলী হাশেম জাদেহ এবং তার মায়ের নাম মারিয়াম। ডেলভিন হাশেমজাদেহ নামে একটি ছোট বোনও রয়েছে আনাহিতার। ইন্সটাগ্রামে তাকেও মাঝে মধ্যে দেখা যায়।
বিশ্ববাসীর কাছে আনাহিতা পরিচিত হয়ছে তার মনকাড়া হাসির জন্য। ২০১৮ সালের জুন মাসে, আনাহিতার ৩ বছর বয়সে তার নামে একটি ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট খুলে সেখানে তার কিছু ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে তার মা। তাতেই সাড়া পড়ে যায় পুরো বিশ্বে। অনেকেই তার ছবি শেয়ার করতে থাকে।
আর সেই ছবি ই বিশ্বের কোটি মানুষের মন কেড়ে নেয়। এভাবেই মেয়েটি একসময় সোশ্যাল মিডিয়া তে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। রাতারাতি ছড়িয়ে পড়ে তার জনপ্রিয়তা। একের পর এক ছবি আর ভিডিও দেখতে অপেক্ষায় থাকে নেটিজেনরা। আনাহিতার ইন্সটাগ্রামে এখন ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। সেই ৩ বছর বয়সে ইন্সটাতে মায়ের দেয়া ছবির কারনেই আজ আনাহিতা এক অনন্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
যদিও মিডিয়া জগতে এখনো আনাহিতার প্রবেশ ঘটেনি। এই ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে নারাজ তার পরিবার।
অনেকেই মনে করেন, ভবিষ্যতে বিশ্বসুন্দরীর তালিকায় নাম লিখাবে আনাহিতা। কিন্তু যেহেতু সবকিছুই অনিশ্চিত। তাই এই ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
লেখক- সায়মা আফরোজ (নিয়মিত কন্ট্রিবিউটর AFB Daily)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়