বাংলাদেশ ভারতে ব্যান্ডউইডথ সেবার রপ্তানি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে । বাংলাদেশ ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ অনেকটাই অগ্রসরমান যারই সুতো ধরে বাংলাদেশ ভারতেও এদ্দিন যাবৎ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতির দেনা পাওনার কিছু ঘটনায় সে সম্পর্কেও শীতলতা আসতে চলেছে বোধহয়।
গল্পটির শুরু ২০১৫ সনে।
বাংলাদেশের যে সকল জিনিস উদ্ধৃত থেকে যায় তার মাঝে অন্যতম ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ। সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত বাংলাদেশ যখন দেখেছিল দেশটির ইন্টারনেট পরিসেবার বেশ অনেকটুকুই চাহিদা থেকে উদ্ধৃত রয়ে যায় তখন ভারত থেকে প্রস্তাব আসে ইন্টারনেট রপ্তানির। বাঙালি ভাবে, বেশত উদ্দৃত জিনিস থেকে কিছু আয় হলে ক্ষতি কি। প্রস্তাবে সায় জানায় বাংলাদেশ কতৃপক্ষ। ২০১৫ সনের ৬’ই জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারত সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের বিএসসিসিএল ও ভারতের বিএনসিসিএল এর মাঝে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের অন্যতম রাজ্য ত্রিপুরায় ইন্টারনেট পরিসেবা রপ্তানির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত প্রাথমিক ভাবে তাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যটির জন্য তিন বছর মেয়াদে ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেটের জন্য চুক্তি করে। যার মূল্য ধরা হয়েছিল প্রতি সেকেন্ড ব্যান্ডউইডথের জন্য ১০ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় মোটামুটি ৮০০ টাকা বলা চলে।

সব কিছুই ঠিকঠাক গেলেও ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসেই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর ত্রিপুরা কতৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে কার্যক্রমটির মেয়াদে আরো বছর খানেক বাড়িয়ে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এনে ঠেকানো হয়। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার প্রস্তাব আসলে বাংলাদেশ কতৃপক্ষ আর মেয়াদ বাড়াচ্ছেনা এ মর্মেই আপাতত খবর পাওয়া যায়। জানানো হয় বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় ত্রিপুরায় ব্যান্ডউইডথ সেবা রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বিএসসিসিএল। চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে তিন মাসের এডভান্স আগ থেকে করে রাখতে হলেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তারা পরিশোধ করেছে মোটে ৮০% অর্থ। মাস ছয়েক পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের ২০% অর্থের কোন হদীস মেলে নি। এ কারণেই বাংলাদেশের তরফ থেকে ভারতকে বলে দেয়া হয়েছে আগে বকেয়া টাকা পরিশোধ করো এরপর নতুন চুক্তিতে যাওয়া যাবে, নতুবা না ।
ইন্টারনেট পরিসেবা রপ্তানির এ বাজারে বাংলাদেশ আরো কিছু নতুন ক্রেতা খুজে পেয়েছে, জানা যায় সৌদি আরবের সাথেও বাংলাদেশের নতুন একটি চুক্তি হতে পারে খুব শিঘ্রই। সৌদি আরব বাংলাদেশের কাছে ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ চেয়েছে।
মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ খাঁন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
আরো পড়ুন;
টেক জায়ান্ট গুগলের শুরুটা যেভাবে- https://cutt.ly/wxKQj7b