মদিনার গবেষকদের বিস্ময়কর দাবি, কালোজিরাতেই সেরে যাচ্ছে করোনা !

করোনাভাইরাসের তান্ডবে স্থবির গোটা বিশ্ব। আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজারের কাছাকাছি। এই বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে টিকা আবিষ্কারের জন্য হন্যে হয়ে কাজ করছেন সারাবিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের একদল গবেষকের দাবি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সফলভাবে চিকিৎসা করেছেন তারা। মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসন বিভাগের গবেষকরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই গবেষক দল দাবি করছেন কালোজিরাতেই সেরে যাচ্ছে করোনাভাইরাস। যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি।
মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে। তাইবাহ ইউনিভার্সিটির গবেষকদল বলছেন দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম চামেলি ফুল এবং এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে করোনা থেকে সরে ওঠা পর্যন্ত খেতে হবে। মিশ্রনটি খাওয়ার পর ফলের জুস কিংবা লেবু অথবা কমলা খাওয়ার জন্য রোগীদের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কালোজিরা যে রাসুল (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা উপকরণ এ ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা হলো সর্বরোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ওষুধ। তবে বিষ ছাড়া। আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেছেন, বিষ কী? রাসূল (সা.) বলেছেন, মৃত্যু। (সহীহ বুখারি-৫৩৬৩)
মদিনার ঐ গবেষকদল তাদের গবেষণা পত্রে আরো উল্লেখ করেন কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। টিস্যু সুরক্ষিত থাকে, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় না । এছাড়া মধুও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। পাশাপাশি চামেলি ফুলের নির্যাস শরীরের তাপমাত্রা কমাতে জাদুকরি কাজ করে।
গবেষক দলের প্রধান ডা. সালেহ মোহাম্মেদ বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে যারা এ চিকিৎসা নিয়েছেন তারাই সেরে উঠেছেন এবং তারা এটি নিজেদের বাড়িতেই তৈরি করেছেন। এই চিকিৎসা নেয়ার পর রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি।
গবেষকরা আরো বলছেন, রোগী আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলে প্রথম সপ্তাহে দিনে পাঁচবার এভাবে খেতে হবে। আর পরবর্তী সময়ে মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে একবার করে খেতে হবে।