ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে ৮ জনের প্রাণহানি, অসুস্থ সহস্রাধিক

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক করে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে এলাকার ১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। শত শত লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
যাদের কারও চোখে অসম্ভব জ্বালা করছে, কেউ কেউ ভুগছেন প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে।বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে আসা মানুষজন অজ্ঞান হয়ে কেউ কেউ রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ছেন।৭ মে (বৃহস্পতিবার) ভোররাতে বিশাখাপত্তনম শহরে ‘এলজি পলিমারস’ নামে একটি সংস্থার রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিকের এই ঘটনাটি ঘটেছে।কারখানাটিতে মূলত পলিসট্রিন তৈরি করা হয়, যা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা এবং অন্যান্য প্লাস্টিকের জিনিস তৈরি করা হয়। আর সেই কাজে ব্যবহার করা হয় স্টাইরিন নামের গ্যাস। যা মানব দেহের জন্য বিষাক্ত।গত ২৪ মার্চ ভারতে লকডাউন শুরু হলে দেড় মাস যাবত কারখানাটি বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় পর আজ সেটি খুলবে বলে স্থির করলেও কারখানায় ঠিকমতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার দরুণ এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা।অন্ধ্রপ্রদেশের শিল্পমন্ত্রী গৌতম রেড্ডি বলেছেন, “কারখানাটি নতুন করে চালু করার আগে সব পদ্ধতি ও নির্দেশিকা ঠিকমতো পালন করা হয়নি বলেই আমরা সন্দেহ করছি”।গ্যাস লিক হওয়ার খবর টের পাওয়ার পরেই গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পুর কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে টুইট করে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার স্বার্থে তাঁদের ঘর থেকে বাইরে না আসার অনুরোধ করা হয়।ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে লেখেন, ‘বিশাখাপত্তনমের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, ওরা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন। আমি বিশাখাপত্তনমের প্রত্যেকের সুরক্ষা ও মঙ্গল কামনা করি।
১৯৬১ সালে হিন্দুস্তান পলিমার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটিকে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম অধিগ্রহণ করে। তারপরেই এই সংস্থাটির নতুন নাম হয় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া।
১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে ভোপাল শহরে ইউনিয়ন কার্বাইডের সার কারখানা থেকে একবার ‘মিক’ গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।